ভালো রাউটার চেনার উপায় কি - সবচেয়ে ভালো রাউটার কোনটি

আপনি কি জানেন ভালো রাউটার আপনার ইন্টারনেট স্পিডকে বাড়িয়ে দেবে। তাই আপনাকে অবশ্যই ভালো রাউটার চেনার উপায় গুলো জেনে সঠিক রাউটার কিনতে হবে। তবে চিন্তিত হওয়ার কোন কারণ নেই আজকের পোস্টটি আমরা ভালো রাউটার চেনার উপায় ও সবচেয়ে ভালো রাউটার কোনটি এই সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরার চেষ্টা করব।
ভালো রাউটার চেনার উপায় কি - সবচেয়ে ভালো রাউটার কোনটি
পেজসূচিপত্রঃসবচেয়ে ভালো রাউটার কোনটি এ সম্পর্কে জানতে আমাদের পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন। কেননা ভালো রাউটার ছাড়া আপনি ভালো ইন্টারনেট অর্থাৎ ওয়াইফাই ব্যবহার করতে পারবেন না।

ভূমিকা  

বর্তমানে আধুনিক যুগে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। আর ইন্টারনেট ব্যবহারে সবচেয়ে সহজ ও সাশ্রয়ী মাধ্যম হল ওয়াইফাই ব্যবহার করা। তবে ওয়াইফাই ব্যবহার করার জন্য ভালো মানের একটি রাউটার ও অনু প্রয়োজন হয়। কারণ ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক নির্ভর করে রাউটারের সিগন্যালের উপর। আপনার রাউটার যদি ভালো মানের হয় তাহলে আপনি সেটির ওয়াইফাই সিগন্যাল ব্যবহার করে অনায়াসে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন। আপনি যেকোনো ব্রাউজিং দ্রুতগতি সম্পন্ন করতে পারবেন। 
শুধু তাই নয় একটি ভালো রাউটার আপনার ইন্টারনেট স্পিডকে বাড়িয়ে তুলতে পারে। তাই আপনাদের অবশ্যই ওয়াইফাই ব্যবহার করতে একটি ভাল মানের রাউটার কেনা উচিত। আর এই ভালো মানের রাউটার কেনার জন্য আপনাকে অবশ্যই ভালো রাউটার চেনার উপায় জেনে রাখতে হবে, তাহলে আপনি বাজারে গিয়ে ভালো মানের সবচেয়ে ভালো রাউটার কোনটি সেটি দেখেশুনে কিনতে পারবেন। তাই আজকের পোস্টটি মনোযোগ সহকারে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন।

ভালো রাউটার চেনার উপায়

বর্তমানে বাজারে অনেক কোম্পানির রাউটার রয়েছে যারা ভালো মানের রাউটার প্রোভাইড করে থাকে। তবে এর মধ্যে থেকে আমরা সবচেয়ে ভালো রাউটার কোনটি সেটি কিনতে চাই। তবে রাউটার কেনার জন্য আমাদেরকে কিছু প্রশ্নের ও বিষয়ের সম্মুখীন হতে হয়। যেমনঃ কোন রাউটারটি আমার জন্য ভালো হবে, কোন রাউটারটি কিনব ইত্যাদি সহ নানা ধরনের প্রশ্ন আমাদের মাথায় ঘুরতে থাকে। এর ফলে আমরা সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে ব্যর্থ হই। 
ভালো রাউটার
তবে চিন্তার কারণ নেই এই ব্যর্থতার জন্য আমরা রয়েছি। আজকের পোস্টটিতে আপনি জানতে পারবেন কিভাবে একটি ভালো রাউটার কেনা যায় এবং আপনি কি কি বিষয় দেখে রাউটার কিনবেন তা জানতে পারবেন। রাউটার কেনার পূর্বে আপনাকে কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে এবং কিছু বিষয় বিবেচনা রাখতে হবে, বিষয়গুলো বিবেচনায় রেখে আপনাকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে রাউটার ক্রয় করতে হবে। চলুন আমরা সেই বিষয়গুলো জেনে নেই।
  • কভারেজ এরিয়া
  • ডিভাইস সংখ্যা
  • রুম সংখ্যা
  • নেটওয়ার্ক রেঞ্জ
  • রাউটার অ্যান্টেনা 
উক্ত বিষয়গুলো মাথায় রেখে আপনাকে একটি ভালো রাউটার পছন্দ করতে হবে। চলুন এখন আমরা উক্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই।

কভারেজ এরিয়া

ভালো রাউটার চেনার উপায় এরমধ্যে প্রথম পূর্ব শক্ত হলো তার কভারেজ এরিয়া। কভারেজ এরিয়া হল আপনার রাউটারের সিগনাল কতদূর পর্যন্ত যাবে অর্থাৎ আপনি রাউটারের নেটওয়ার্ক সিগনাল যতদূর পর্যন্ত ব্যবহার করতে চান তার পরিমাপ। ভালো রাউটার কেনার পূর্বে অবশ্যই আপনাদের তার কভারেজ এরিয়া সম্পর্কে জেনে নেওয়া উচিত। সাধারণত রাউটারের কভারেজ এরিয়াযত বেশি হবে রাউটারের ফ্রিকোয়েন্সি তত বেশি হবে এবং রাউটার তত ভালো হবে। 

আমাদের দেশে রাউটার সাধারণত ২.৪ গিগাহার্জ ফ্রিকোয়েন্সির বেশি ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এই রাউটার গুলোতে সাধারণত ৩২ টি ডিভাইস পর্যন্ত কানেক্ট করতে পারে অর্থাৎ রাউটারটি ৩২টি ডিভাইসকে ইন্টারনেট সেবা প্রদান করতে পারবে। তবে বর্তমানে সময়ের সাথে সাথে বিভিন্ন ধরনের রাউটার বের হয়েছে। তবে বর্তমানে ডুয়েল ব্যান্ড রাউটার বের হয়েছে যার ফ্রিকোয়েন্সি অনেক বেশি আর এটি বর্তমানে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হচ্ছে।

২.৪ গিগাহার্জ ও ৫ গিগাহার্জ সমন্বয়ে গঠিত এই ডুয়েল ব্যান্ড ফ্রিকুয়েন্সি রাউটার বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এই ডুয়েল ব্যান্ড ফ্রিকোয়েন্সি রাউটার একটি সিঙ্গেল ব্যান্ড ফ্রিকোয়েন্সি রাউটার হতে দ্বিগুণ শক্তিশালী সার্ভিস দিয়ে থাকে। ধরুন একটি সিঙ্গেল ব্যান্ড ফ্রিকুয়েন্সির রাউটার ৩২টি ডিভাইস এ সার্ভিস দিতে পারে, আর অপরপক্ষে একটি ডুয়েল ব্যান্ড ফ্রিকোয়েন্সি রাউটার ৬৪টি ডিভাইসে সার্ভিস দিতে পারে অর্থাৎ এই রাউটার ৬৪টি ডিভাইস ইন্টারনেট সেবা নিতে পারবে। 

তাহলে বুঝতে পারছেন ডুয়েল ব্যান্ড রাউটার সিঙ্গেল এর চেয়ে কতটা শক্তিশালী। এবার আপনি যদি কভারেজ এরিয়া আপনার ১ থেকে ২টি রুম এর মধ্যে রাখতে চান , আর ডিভাইস ব্যবহারকারী সংখ্যা যদি তিন থেকে পাঁচটি হয়ে থাকে তাহলে আপনার জন্য সিঙ্গেল ব্যান্ড(Single Band) রাউটার সবচেয়ে ভালো হবে আর এটি আপনার জন্য যথেষ্ট। এতে করে আপনার খরচ কম হবে এবং আপনার সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। 

আর আপনি যদি ওয়াইফাই সিগনাল আরো বেশি দূরে অর্থাৎ কভারেজ এরিয়া যদি বাড়াতে চান এবং আপনি ৩ থেকে ৪টি রুমে ব্যবহার করতে চান তাহলে আপনার জন্য ডুয়েল ব্যান্ড(Dual Band) রাউটারটি হবে সেরা। এতে করে আপনি পাঁচ থেকে ছয়টি ডিভাইস ব্যবহার করতে পারবেন। তবে মাথায় রাখা উচিত এতে করে আপনার হালকা একটু খরচ বেড়ে যাবে। 

এবার আসা যাক আপনি যদি বড় কভারেজ এর জন্য অর্থাৎ অফিসের জন্য রাউটার ক্রয় করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই একটি উচ্চ মানের ভালো রাউটার এর সাথে সাথে রিপিটার ব্যবহার করতে হবে। তাছাড়া বাজারে এখন উচ্চমানের রাউটার যেমন ট্রাই-ব্যান্ড (Tri-Band) পাওয়া যাচ্ছে। তবে এই রাউটারে ক্রয় খরচ বেশি। তবে আরেকটি বিষয় মনে রাখা উচিত আপনি যদি শুধুমাত্র একটি রুমে ওয়াইফাই ব্যবহার করতে যান তাহলে আপনি তার যুক্ত wired রাউটার ব্যবহার করতে পারেন। 

সাধারণত বড় কভারেজের জন্য ওয়ারলেস রাউটার ব্যবহার করা হয়। ওয়ারলেস রাউটার সাধারণত ওয়াইফাই প্রযুক্তি ব্যবহার করে ইন্টারনেট সেবা প্রদান করে। তাই যদি আপনার কভারেজ এরিয়া বড় হয় তাহলে আপনি ওয়ারলেস রাউটার কিনবেন।

ডিভাইস সংখ্যা

ভালো রাউটার চেনার ক্ষেত্রে আরেকটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে ডিভাইস সংখ্যা অর্থাৎ রাউটারটিতে আপনি কতটি ডিভাইস একসাথে ব্যবহার করতে পারবেন এবং আপনার রাউটারটি একসাথে ব্যবহৃত অনেকগুলো ডিভাইস গুলোর চাপ নিতে পারবে কিনা এই বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে। অনেক সময় দেখা যায় কম দামের রাউটার হয় একসাথে অনেকগুলো ডিভাইস কানেক্ট করলে রাউটারটি বেশি চাপ নিতে পারে না ফলে ইন্টারনেট মাঝে মাঝে ছেড়ে দেয় অর্থাৎ সিঙ্গেল ভালো মতো দিতে পারেনা এই সমস্যাটি বেশিরভাগ হয়ে থাকে। 

যখনই অনেকগুলো ডিভাইস রাউটারে কানেক্ট করা হয় তখন রাউটারের পারফরম্যান্স এর উপর চাপ পড়ে। তাই অবশ্যই কয়টি ডিভাইস ব্যবহার করবেন তার সংখ্যা অনুযায়ী রাউটার নির্বাচন করতে হবে। বাংলাদেশের বর্তমানে বাসা বাড়িতে সাধারণত রাউটারের স্পিড ১৫০ এমবিপিএস থেকে ৩০০ এমবিপিএস পর্যন্ত হয়ে থাকে। তবে যত দিন যাচ্ছে প্রযুক্তি দিনে দিন আপডেট হচ্ছে। ফলে এখন বাজারে অনেক উন্নতমানের 1900 এমবিপিএস এর রাউটার পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়াও রাউটারে অনেক ধরনের উন্নতি করা হয়েছে।

রাউটার ব্যবহারে রুম সংখ্যা

ভালো মানের রাউটার ক্রয় করতে হলে অবশ্যই আপনাকে রুমের সংখ্যা বিবেচনায় রেখে রাউটার ক্রয় করতে হবে। কেননা আপনি কয়টি রুমে ওয়াইফাই সিগন্যাল অর্থাৎ ওয়াইফাই ইন্টারনেট ব্যবহার করতে চাচ্ছেন তার উপর নির্ভর করে রাউটার ক্রয় করতে হবে। কারণ আপনার বাসায় রুমের সংখ্যা কত তার ওপর নির্ভর করে রাউটার কিনতে হবে। রাউটারের সিগন্যাল রুমের দেওয়াল, দরজা, জানালা ভেদ করে যেতে বেশি শক্তিশালী রাউটারের প্রয়োজন হয়। 

রাউটারের সিগন্যাল কতদূর পর্যন্ত যায় অর্থাৎ রাউটারের রেঞ্জের উপর নির্ভর করে কিনবেন। তাই রুমের সংখ্যা গণনা করে তার উপর নির্ভর করে শক্তিশালী গতিসম্পন্ন রাউটার কিনতে হবে। তারা আগে জেনে নিতে হবে আপনি যে রাউটারটি কিনছেন সেটি আপনার সবগুলো রুমে সিগন্যাল পৌঁছাতে পারবে কিনা তা সম্পর্কে আগে জেনে বুঝে ক্রয় করতে হবে।

নেটওয়ার্ক রেঞ্জ

রাউটার কেনার ক্ষেত্রে রাউটারের রেঞ্জ কত এ বিষয়টি জেনে অবশ্যই কিনতে হবে। কারণ আপনি কতদূর পর্যন্ত সিগন্যাল পৌঁছাতে চান তার উপর নির্ভর করে রাউটারের রেঞ্জ পরীক্ষা করে কিনতে হবে। একটা কথা মনে রাখতে হবে সাধারণত রাউটারের রেঞ্জ যত বেশি হবে, আপনার রাউটার তত বেশি এরিয়া পর্যন্ত ইন্টারনেট সার্ভিস প্রদান করতে পারবে। ধরুন আপনার রাউটার বাড়িতে লাগানো আছে যেটির রেঞ্জ অনেক বেশি। 

এখন যদি আপনি আপনার বাড়ির রাস্তা সামনে গিয়ে ওয়াইফাই চালান তাহলেও চালাতে পারবেন কারণ আপনার রাউটারের রেঞ্জ বেশি হওয়ার কারণে তার সিগনাল রাস্তা পর্যন্ত যাচ্ছে। তাহলে বুঝতে পারছেন রাউটারের নেটওয়ার্ক রেঞ্জ বেশি হলে আপনি সবগুলো রুমে অথবা বড় এরিয়ায় নেটওয়ার্ক সার্ভিস পাবেন। যদি ওয়্যারলেস রাউটারের কথা বলা যায় তাহলে এটি ইনডোরে বা ঘরের ভেতরে ১৫০ ফুট পর্যন্ত রেঞ্জ অর্থাৎ কভারেজ দিয়ে থাকে। 
আর আউটডোর এর ক্ষেত্রে অর্থাৎ ঘরের বাইরে ৩০০ ফুট পর্যন্ত রেঞ্জ প্রদান করে থাকে। তাই আপনি যদি একটি বড় বাড়ি অথবা বড় স্থান জুড়ে ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক কভারেজ রাখতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই রাউটারের পাশাপাশি রিপিটার ব্যবহার করতে হবে। আবার আপনি বড় কভারেজ এর জন্য অর্থাৎ রেঞ্জ পাওয়ার জন্য আউটডোর রাউটার ব্যবহার করতে পারে। 

এই আউটডোর রাউটার গুলো সাধারণত এক থেকে দুই কিলোমিটার পর্যন্ত রেঞ্জ দিতে পারে। এর থেকে বেশিও দিতে পারে। তবে আপনি যদি পুরো এলাকা জুড়ে নেটওয়ার্ক কভারেজ দিতে চান তাহলে আপনাকে ওয়াইম্যাক্স(WIMAX) লাগাতে হবে।

রাউটার অ্যান্টেনা

ভালো রাউটার চেনার ক্ষেত্রে আরেকটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো রাউটারের এন্টিনা। আপনার রাউটারের এন্টেনা যত বেশি হবে তত বেশি রাউটার ভালো পারফরম্যান্স দিবে এর সাথে সাথে, ভালো কভারেজ ও রেঞ্জ দিবে। বর্তমানে বাংলাদেশে একাধিক অ্যান্টেনাযুক্ত রাউটার বের হয়েছে যেগুলো বেশিরভাগ দ্রুত গতি সম্পন্ন ইন্টারনেট সেবা প্রদান করতে সক্ষম এবং ওয়াইফাই এরিয়া বৃদ্ধি করতে সক্ষম। 

বিশেষ করে যেসব রাউটারের অ্যান্টেনা সংখ্যা বেশি তাদের রেঞ্জ বেশি হয়ে থাকে। আর রেঞ্জ বেশি থাকলে বুঝতে পারছেন আপনি রাউটার ব্যবহার করে ওয়াইফাই অনেক দূর পর্যন্ত অর্থাৎ আপনার পুরো বাসায় ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক সিগন্যাল ব্যবহার করতে পারবেন। এর সাথে সাথে ওয়াইফাই রাউটারের নেটওয়ার্ক স্পিড বেড়ে যায়। তাই অবশ্যই বেশি এন্টেনাযুক্ত রাউটার ক্রয় করার চেষ্টা করবেন।

ভালো রাউটার চেনার উপায় -কোন রাউটার ভালো

বর্তমানে বাংলাদেশে বিভিন্ন কোম্পানির রাউটার বাজারে রয়েছে যার থেকে কোনটি আপনার জন্য ভালো হবে তা বলা মুশকিল। তবে নিচে কিছু রাউটারের নাম বলা হলো যেটি কিছুটা হলেও আপনার জন্য ভালো হবে আশা করা যায়। চলুন আমরা এবার জেনে নেই কিছু সেরা রাউটার অর্থাৎ সবচেয়ে ভালো রাউটার গুলো সম্পর্কে।
  • TP-Link TL-WR820N
  • P-Link Archer C20 AC750
  • TP-Link Archer C54 AC1200
  • TP-Link Archer C64 AC1200
  • Asus RT-AC59U V2 AC1500
  • Asus RT-AX53U AX1800
  • ASUS RT-AX55 AX1800
  • Asus RT-AX56U AX1800
  • Asus RT-AX58U AX3000
  • Xiaomi MI 4C R4CM 300
  • Xiaomi Mi 4A (Regular Edition)
  • Xiaomi Mi 4A (Gigabit Edition)
  • Xiaomi Mi AIoT AX3600
  • Mercusys MW305R
  • Mercusys AC10 AC1200
  • Mercusys AC12G AC1200
  • Tenda 
উপরের প্রদত্ত মডেল গুলো আপনি ইন্টারনেটে সার্চ করে বিস্তারিত দেখে নিবেন। আমার জানামতে উক্ত মডেল গুলো আপনার জন্য ভালো হবে। তাই শেয়ার করলাম।

সবচেয়ে ভালো রাউটার কোনটি 

আপনারা অনেকে জানতে চেয়েছেন সবচেয়ে ভালো রাউটার কোনটি। তবে এই প্রশ্নের উত্তরে আমি আপনাদের সামনে সবচেয়ে ভালো রাউটার তুলে ধরার চেষ্টা করব। যেগুলো আপনার জন্য ভালো হবে। চলুন সেই রাউটার গুলো দেখে নেই।
  • DIR-615 N300
  • Tenda F-3
  • TP-Link TL-WR840N (V2)
  • TL-WR820N
  • ASUS RT-N12+
  • Netgear WNR614
চলুন আমরা এবার উক্ত রাউটার গুলো সম্পর্কে কিছু বিস্তারিত জেনে নেই।

DIR-615 N300

এই রাউটারটিতে দুটি এন্টিনা রয়েছে। এর সাথে সাথে রাউটারটির ইন্টারনেট ট্রান্সফার স্পিড ৩০০ এমবিপিএস। তবে বাজারে এ রাউটারটি তিন বছরে ওয়ারেন্টি সহ মাত্র ১২০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। তাহলে এই রাউটারের দাম ১২০০ টাকা। এই রাউটারটি সবচেয়ে আকর্ষণের বিষয় হলো এর সাথে আপনি তিন বছরের ওয়ারেন্টি পাচ্ছেন। রাউটারটিতে চারটি ল্যান্ড পোর্ট এবং একটি ওয়ান পোর্ট রয়েছে। এছাড়া এতে হাই সিকিউরিটি ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়াও এটিতে রয়েছে ব্যান্ডউইথ কন্ট্রোল এর সুবিধা।

Tenda F-3

এই রাউটারটি বাসা বাড়ির জন্য ব্যবহার করা উপযোগ্য। রাউটারটিতে তিনটি এন্টেনা রয়েছে। রাউটারটি ডাটা ট্রান্সফার স্পিড রয়েছে ৩০০ এমবিবিএস। এটিতে চারটি লেন পোর্ট রয়েছে। এছাড়া এটি ব্যবহার করে ইথারনেট দিয়ে আপনি চারটি কম্পিউটার কানেক্ট করতে পারবেন। কম দাম এটি সবচেয়ে ভালো রাউটার হবে আপনার জন্য। এই রাউটারটির প্রাইস ১১০০ টাকার মত।

TP-Link TL-WR840N (V2)

টিপি লিংক কোম্পানির এদিক দিয়ে রাউটার অন্যতম। বর্তমানে এ রাউটারটি বাংলাদেশের প্রচুর পরিমাণে জনপ্রিয় ও ব্যবহার হয়ে আসছে। এ রাউটারটির দুটি এন্টেনা রয়েছে। রাউটারটি ফ্রিকোয়েন্সি রেট ২.৪ গিগাহার্জ। এছাড়া এতে ব্যান্ডউইথ কন্ট্রোলসহ সিকিউরিটির ব্যবস্থা রয়েছে। ইন্টারনেট স্পিড কন্ট্রোল সহ আরো অনেক সুযোগ সুবিধা দিয়ে থাকে। বর্তমানে রাউটার দিয়ে বাজার মূল্য ১৯০০ টাকা আশেপাশে।

TL-WR820N

যদি কম দামের মধ্যে ভালো রাউটার কিনতে চান তাহলে এটি হতে যাচ্ছে আপনার জন্য সেরা। মাত্র এক হাজার পঞ্চাশ টাকায় এই রাউটারটি পাচ্ছেন দুটি এন্টেনা সহ ৩০০ এমবিপিএস ডাটা স্পিড। এর সাথে রয়েছে এক বছরে ওয়ারেন্টি। এ রাউটার দিয়ে আপনি ভিডিও লাইভ স্ট্রিম করতে পারবেন সুন্দরভাবে।

ASUS RT-N12+

Asus এর ব্যান্ডের মধ্যে কম দামের মধ্যে এ রাউটারটি সবচেয়ে সেরা। দুটি এন্টিনা যুক্ত রাউটারটি ডাটা ট্রান্সফার রেট 300 এমবিপিএস পর্যন্ত সাপোর্ট করে। তাছাড়া আপনি রাউটারটিকে রিপিটার হিসেবে অথবা রেঞ্জ এক্সটেন্ডার হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন। অন্যান্য রাউটার থেকে এই রাউটারে বেশি সুযোগ সুবিধা পাবেন। রাউটারটি দুই বছরের ওয়ারেন্টি সহ দাম মাত্র ১৫০০ টাকা।

Netgear WNR614

আপনি যদি রাউটারের কভারেজ বাড়াতে চান অথবা ইন্টারনেট স্পিড বৃদ্ধি করতে চান তাহলে এর রাউটারটি আপনার জন্য হবে সেরা। কারণ এই রাউটারটিতে ইন্টারনেট স্পিড বৃদ্ধি করার জন্য এক্সট্রা করে এন্টেনা রয়েছে যা ব্যবহার করে রেঞ্জ সহ স্পিড বাড়ানো যাবে। আপনি অনলাইন কাজের জন্য অথবা ভিডিও স্ট্রিম করার জন্য এর রাউটারটি পছন্দ করতে পারেন। রাউটারটির দাম ১৪০০ টাকা যাতে রয়েছে এক বছরের ওয়ারেন্টির সুবিধা। এছাড়া হাই সিকিউরিটি সিস্টেম রয়েছে।

ভালো রাউটার সম্পর্কে ও প্রশ্ন উত্তর FAQ

প্রশ্নঃD-Link রাউটারের দাম কত?
উত্তরঃ D-Link রাউটারের দাম মূলত ১ হাজার টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৬ হাজার টাকা পর্যন্ত।

প্রশ্নঃ রাউটার কোন মডেলের চেনার উপায়?
উত্তরঃ রাউটারের পিছনে থাকা স্টিকার দেখে রাউটারের মডেল নাম্বার দেখতে পারবেন। বা রাউটারের ম্যানুয়াল কাগজে মডেল নাম্বার লেখা থাকে।

প্রশ্নঃ রাউটার এর অনুর কাজ কি?
উত্তরঃ অনু সাধারণত অপটিক্যাল ফাইবারের আলোক সিগন্যালকে ইলেকট্রিক সিগন্যালে রূপান্তর করে রাউটারে পাঠায় এবং সেটি আমরা ওয়াইফাই ইন্টারনেট হিসেবে সিগনাল পায়।

প্রশ্নঃ দশ এমবিপিএস আপলোড স্পিড কি ভালো?
উত্তরঃ দশ এমবিপিএস আপলোড স্পিড ভালো বলতে গেলে এখানে আপলোড স্পিড নির্ভর করে আপনি কত জিবি ফাইল আপলোড করতেছেন তার ওপর। তবে ওয়াইফাই লাইন কানেকশন অনুযায়ী বিভিন্ন কোম্পানির বিভিন্ন রকম আপলোড স্পিড দিয়ে থাকে।

প্রশ্নঃ রাউটার কত প্রকার?
উত্তরঃ রাউটার সাধারণত পাঁচ প্রকার।

প্রশ্নঃ রাউটার ও ওয়াইফাই এর মধ্যে পার্থক্য কি?
উত্তরঃ রাউটার মূলত ওয়াইফাই সিগনাল দিয়ে থাকে। যেখানে আমরা রাউটারের ওয়াইফাই সিগন্যাল কানেক্ট করে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারি। আর ওয়াইফাই বলতে এটি মূলত এক প্রকার সিগনাল যা ব্যবহার করে ইন্টারনেট চালানো যায়।

শেষ কথা 

প্রিয় পাঠক আশা করছি আপনারা ভালো রাউটার চিনতে পেরেছেন এবং ভালো রাউটার চেনার উপায় সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে পেরেছেন। যদি জেনে থাকেন তাহলে অবশ্যই উপরোক্ত বিষয়গুলো বিবেচনা করে কোন রাউটারটি আপনার জন্য ভালো হবে সেটি কিনবেন। পোস্টটি ভাল লেগে থাকলে শেয়ার করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

বিজ্ঞাপন