ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ কি সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন
ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ সম্পর্কে অনেকেই অজানা রয়েছে, বিশেষ করে যারা নতুন ফ্রিল্যান্সার রয়েছেন তাদের অবশ্যই ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের কাজ সমূহ সম্পর্কে জেনে রাখতে হবে। তবে আপনারা চিন্তিত হবেন না, আজকের পুরো আর্টিকেলে ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ কি সম্পর্কে জানানোর চেষ্টা করব।
পোস্টসূচিপত্রঃতাই আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিংয়ের সকল কাজ সম্পর্কে জানতে চান
তাহলে সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়তে থাকুন। সম্পন্ন পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে
পড়লে আশা করি আপনি ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে
যাবেন।
ভূমিকা | ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ
বর্তমান সময়ে আমরা দিন দিন ইন্টারনেটের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছি। যার কারণে
আমরা বিভিন্ন কাজ, বিভিন্ন জামা কাপড়, বিভিন্ন পণ্য অথবা বিভিন্ন তথ্য জানতে
সবসময় ইন্টারনেট ব্যবহার করছি। মূলত এই কারণেই ফ্রিল্যান্সিং এর চাহিদা দিন দিন
বৃদ্ধি পাচ্ছে। মানুষ অনলাইনের ওপর নির্ভর হওয়াতে দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে অনলাইনে
ইনকামের সংখ্যা। অনেকেই ফ্রিল্যান্সিং করছেন তার কারণ হচ্ছে, ফ্রিল্যান্সিং একটি
মুক্ত পেশা। এটি আপনি চাকুরী অথবা পড়াশোনার পাশাপাশি অনায়াসে করতে পারবেন।
আরো জানুনঃ ১০ টি ইনপুট ডিভাইসের নাম বাংলায়
আপনাদের মধ্যে অনেকে আছেন যাদের ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ সম্পর্কে তেমন একটা ধারণা
নাই। কিন্তু আপনারা ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য খুঁজে বেড়ান। এই
সম্পূর্ণ পোস্টটি জুড়ে আমি ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ নিয়ে বিস্তারিতভাবে
আলোচনা করার চেষ্টা করব। তাই আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং এর বিভিন্ন কাজ সম্পর্কে
জানতে চান তাহলে সম্পন্ন পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ
ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ কি কি আপনারা যেহেতু জানতে চেয়েছেন তাই আমরা আজকের এই অংশে ফ্রিল্যান্সিং এর কাজগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে বিভিন্ন ধরনের কাজ রয়েছে যা জানলে আপনাদের অবশ্যই সুবিধা হবে। তবে চলুন নিম্নে ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ কি কি জেনে নেই।
- ডিজিটাল মার্কেটিং
- গ্রাফিক্স ডিজাইন
- ভিডিও এডিটিং
- ওয়েবসাইট ডিজাইন
- ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট
- অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট
- কনটেন্ট রাইটিং
- কপিরাইটিং
- সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন SEO
- ডাটা এন্ট্রি
- ট্রান্সক্রাইবিং
- ট্রান্সলেটিং
- ভার্চুয়াল এসিস্ট্যান্ট
- ডাটা এনালাইসিস
- ইউ আই ডিজাইনার
আমরা তো ওপরে ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ কি কি রয়েছে দেখলাম। চলুন এবার এই কাজগুলো
সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নি।
ডিজিটাল মার্কেটিং
বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ এর মধ্যে জনপ্রিয় হল ডিজিটাল মার্কেটিং। তার কারণ অনলাইনে
বিভিন্ন সেবার প্রচারকে ডিজিটাল মার্কেটিং বলা হয়ে থাকে। বেশ অনেক কয়টি উপায়ে
করা যেতে পারে এই ডিজিটাল মার্কেটিং। আপনি চাইলে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর
মাধ্যমে শুরু করতে পারেন অথবা আপনার যদি এটি করতে ভালো না লাগে তাহলে শুরু করতে
পারেন সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং এর মাধ্যমে। তাই আপনি ফ্রিল্যান্সিং এর মধ্যে থেকে
অবশ্যই ডিজিটাল মার্কেটিং বেছে নিতে পারেন।
এখানে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং বলতে বোঝায় ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম
ইত্যাদি প্লাটফর্মে আপনার নিজস্ব পণ্য বিক্রির জন্য মার্কেটিং করা কে বোঝায়।
অর্থাৎ আপনি আপনার কোন পণ্য এই ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে বিক্রি করতে পারবেন।
অর্থাৎ অনলাইনে আপনার বিভিন্ন পণ্যের রিভিউ দেখে মানুষ আপনার পণ্যগুলো ক্রয়
করবে। চলুন এবার ডিজিটাল মার্কেটিং এর ধাপ সম্পর্কে জানা যাক।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর ধাপসমূহ
ডিজিটাল মার্কেটিং এর অনেক কয়েকটি ধাপ রয়েছে। আপনি চাইলে বিভিন্ন ধাপে
মার্কেটিং করতে পারবেন। যেমন,,
- সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন। অর্থাৎ SEO.
- আর্টিকেল রাইটিং।
- সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং।
- ইমেইল মার্কেটিং।
- অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং।
- সিপিএ মার্কেটিং।
- মোবাইল মার্কেটিং ইত্যাদি।
গ্রাফিক্স ডিজাইন
আপনার যদি কোন ধরনের মার্কেটিং করতে না ভালো লাগে। তাহলে আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইন
শিখতে পারেন। বর্তমানে একটি জনপ্রিয় সৃজনশীল ভিত্তিক কাজ এই গ্রাফিক্স ডিজাইন।
বর্তমানে এর চাহিদা প্রচুর পরিমাণে রয়েছে। মূলত এর কাজটি হল, পেশাদারদের চাহিদা
মত তাদের সমস্ত তথ্য দিয়ে এক ধরনের ডিজাইন তৈরি করা। যেমন ধরেন, একটি নতুন
কোম্পানি কেউ খুলেছেন তাহলে অবশ্যই সেই কোম্পানির একটি সুন্দর পরিচিতি দরকার।
সাধারণত একটি কোম্পানির পরিচিতি একটি ছোট্ট লোগো মাধ্যমে দেখানো হয়। আর একজন
প্রফেশনাল গ্রাফিক্স ডিজাইনার এর কাজ হচ্ছে, মানুষের পছন্দ মত লোগো বানিয়ে
দেওয়া। এক কথায় বলতে গেলে মানুষের পছন্দ মত ডিজাইন তৈরি করাই একজন গ্রাফিক্স
ডিজাইনার এর কাজ।বর্তমানে এই সেক্টরে প্রচুর পরিমাণে অর্থ উপার্জন করা যায়। তবে
আপনাকে প্রচুর সময় এবং পরিশ্রম দিতে হবে। চলুন গ্রাফিক্স ডিজাইনের কয়েকটি
ধাপসমূহ সম্পর্কে জেনে নি।
গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজসমূহ
- বিজনেস কার্ড ডিজাইন।
- লোগো ডিজাইন করা।
- ফন্ট ডিজাইন করা।
- বিভিন্ন ট্রাইপোগ্রাফি তৈরি করা।
- যেকোনো ধরনের বিজনেস কার্ড ডিজাইন করা।
- বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইট ডিজাইন করা।
- বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন ডিজাইন করা।
- নানান ধরনের আইকন ডিজাইন করা।
- বিভিন্ন প্যাটার্ন ডিজাইন করা।
- বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া ডিজাইন করা।
- বিভিন্ন ছবি এডিটিং।
- যে কোন ধরনের পোস্টার তৈরি করা।
- বিভিন্ন রেস্টুরেন্টের মেনু তৈরি করা।
- বিভিন্ন কোম্পানির লেভেল এবং প্যাকেজিং ডিজাইন করা।
- বিভিন্ন বই ডিজাইন করা।
- সর্বশেষ বিভিন্ন টি-শার্ট ডিজাইন করা ইত্যাদি।
ভিডিও এডিটিং
ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ এর মধ্যে অন্যতম কাজ হচ্ছে ভিডিও এডিটিং। আপনি মূলত
এটি শিখে বিভিন্ন ধরনের ভিডিও এডিটিং করতে পারবেন। আর বর্তমানে অনলাইন বাজারে
ভিডিও এডিটরের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। যেমন আপনি ভিডিও এডিটিং শিখলে বিভিন্ন ধরনের
অ্যানিমেশন, বিভিন্ন মোশন গ্রাফিক্স, বিভিন্ন ধরনের ভার্চুয়াল ইফেক্ট তৈরি করতে
পারবেন। আর বর্তমানে এই কাজগুলো এর চাহিদা প্রচুর পরিমাণে রয়েছে। আপনি চাইলে
একটি নরমাল ভিডিও কে আপনার মনের মতো করে মিউজিক দিয়ে সুন্দর করে এডিট করতে
পারেন।
মূলত একটি ভিডিওকে পরিপূর্ণভাবে সম্পূর্ণ করাই একজন ভিডিও এডিটরের কাজ। তাই আপনি
যদি ফ্রিল্যান্সিং এর কোন সেক্টরে আসতে চান। তাহলে আপনি ভিডিও এডিটিং এর সেক্টরটি
বেছে নিতে পারেন। চলুন এবার দেখে নিন ভিডিও এডিটিং শিখে আপনি কি কি কাজ করতে
পারবেন।
ভিডিও এডিটিং এর কাজ সমূহ
- ভিডিও টেমপ্লেট এডিটিং করা।
- দ্বিতীয়তঃ ভার্চুয়াল ইফেক্ট তৈরি করা।
- তৃতীয়তঃ বিভিন্ন ধরনের ইন্ট্রো তৈরি করা।
- বিভিন্ন ধরনের সাবটাইটেল এবং ক্যাপশন তৈরি করা।
- অ্যানিমেশন তৈরি করা বিভিন্ন ক্যারেক্টারের।
- বিভিন্ন অ্যানিমেশন সহ লোগো তৈরি করা।
- সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন ভিডিও এডিট করা।
- বিভিন্ন ধরনের মিউজিক ভিডিও তৈরি করা।
- বিভিন্ন ধরনের কর্পোরেট ভিডিও তৈরি করা।
- সর্বশেষ বিভিন্ন মশান গ্রাফিক্স তৈরি করা।
ওয়েব ডিজাইন
বর্তমানে আমরা গুগলে কোন তথ্য খোঁজার জন্য কিছু লিখে সার্চ করলে। আমাদের মাঝে
হাজার হাজার ওয়েবসাইট দেখায়। আর মূলত এই কারণে ওয়েব ডিজাইনারের চাহিদা দিন দিন
বেড়ে যাচ্ছে। একজন ওয়েব ডিজাইনারের কাজ হল ওয়েবসাইটের সুন্দর স্ট্রাকচার গঠন করা এবং ওয়েবসাইটকে আকর্ষণীয় করে গড়ে তোলা। মূলত ক্লায়েন্টের মতামত ও তথ্য অনুযায়ী ওয়েবসাইট ডিজাইন করাকেই ওয়েব ডিজাইন বলা হয়ে থাকে।
একজন ওয়েব ডিজাইনার বিভিন্ন ধরনের কাজ করে থাকে, যার মধ্যে রয়েছে, একটি
ওয়েবসাইটের কোথায় কি থাকবে, কি ধরনের থিম ব্যবহার করা হবে, কি ধরনের টেমপ্লেট
ইউজ করা হবে, বিভিন্ন মেনু বার, বিভিন্ন লেআউট, হোমপেজ কোথায় থাকবে এগুলোই মূলত
একজন ওয়েব ডিজাইনার এর কাজ। আপনি চাইলে ওয়েব ডিজাইন শিখে মোটা অংকের টাকা
উপার্জন করতে পারেন। তার কারণ হচ্ছে বড় বড় কোম্পানি তাদের ওয়েবসাইট ডিজাইনের
জন্য মোটা অংকের টাকা ব্যয় করে থাকে।
তাই আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিংয়ের কোন সেক্টর কাজ করতে আগ্রহী থাকেন তাহলে আপনি
ওয়েব ডিজাইন শিখতে পারেন। আপনি যদি বড় বড় কোম্পানি সাথে যোগাযোগ করে তাদের
মনের মত করে ওয়েবসাইট ডিজাইন করে দেন তাহলে আশা করি আপনি ওয়েবসাইট ডিজাইন করে
প্রচুর অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। তবে একটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে যদি আপনি
ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে আসতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে ধৈর্য ধারণ করতে হবে। তাহলে
আপনি এই সেক্টরের টিকে থাকতে পারবেন।
ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট
আমাদের দেশে বর্তমানে মানুষ অনলাইনে কেনাকাটা শুরু করেছেন। এখন মানুষ কোন কিছুর
দরকার হলে ঘরে বসে অনলাইনে অর্ডার করে এবং নির্দিষ্ট সময় মতো তাদের ঘরে সেই
পণ্যগুলি পৌঁছে যায়। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের কোর্স অথবা সার্ভিসের জন্য একটি
জনপ্রিয় ওয়েবসাইটের প্রয়োজন হয়। আর মূলত ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট করে একটি
ওয়েবসাইটকে বড় করে এবং জনপ্রিয় করে তোলা সম্ভব।
আরো পড়ুনঃ ১০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া
বর্তমানে আমাদের দেশের চেয়ে অন্যান্য বাহিরের দেশে চাহিদা বেশি রয়েছে ওয়েব
ডেভেলপমেন্টের। এছাড়া ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং চাহিদা
সম্পন্ন কাজ হচ্ছে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট। চলুন এবার ওয়েব ডেভেলপমেন্টের কয়েকটি ধাপ
সম্পর্কে জেনে নি।
সাধারণত দুটি ধাপ রয়েছে ওয়েব ডেভেলপমেন্টের। যেমন,
- ফ্রন্ট এন্ড ওয়েব ডেভেলপমেন্ট।
- ব্যাংক অ্যান্ড ওয়েব ডেভেলাপমেন্ট।
ওয়েব ডেভেলপমেন্ট শিখতে যা জানা প্রয়োজন
- CSS.
- HTML.
- JAVASCRIPT.
- JQUERY.
- BOOTSTRAP.
- PYTHON OR RUBY.
অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট
আমরা কিন্তু অনেকেই মোবাইলে বিভিন্ন ধরনের অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে থাকি। সেটা
আমাদের মৃত্যুর প্রয়োজনীয় বিভিন্ন কারণেই। আমরা বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার
করে থাকি তার মধ্যে রয়েছে, ফেসবুক, মেসেঞ্জার, whatsapp, টুইটার, বিভিন্ন গেমিং
অ্যাপস ইত্যাদি। মূলত একজন এপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্টের প্রধান কাজ হচ্ছে একটি
অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করা এবং উক্ত এপ্লিকেশন টির রক্ষণাবেক্ষণ করা। এক কথায় ওয়েব
সাইটের যাবতীয় কাজ কর একজন অ্যাপ ডেভেলপমেন্টের কাজ।
আর ফ্রিল্যান্সিং এর সেক্টরের মধ্যে অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট অন্যতম। কারণ একটি অ্যাপ
তৈরি করে সেটাকে নিয়ন্ত্রণ করা, অ্যাপের সমস্ত ক্র্যাক ঠিক করা এবং অ্যাপ থেকে
সুন্দরভাবে পরিচালনা করা প্রধান কাজ। তাই বর্তমানে কোন কোম্পানি তাদের বিজনেস
সাইট খোলার জন্য অ্যাপ এর ব্যবহার করে। অর্থাৎ ওই অ্যাপে কাস্টমার ঢুকে তাদের
পছন্দমত পণ্য ক্রয় করতে পারে খুব সহজে। চলুন এবার বিভিন্ন ধরনের অ্যাপ
ডেভেলপমেন্ট এর কাজ দেখেনি।
অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্টের কাজ সমূহ - ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ
- ওয়েব এপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট করা।
- ডেক্সটপ অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট এর কাজ।
- বিভিন্ন মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট এর কাজ।
- সর্বশেষ অ্যাপ মেইনটেইন করা।
চলুন এবার দেখে নিই ডেভেলপমেন্টের সফটওয়্যার সমূহ
- QUIXY.
- JIRA.
- GOODBARBER.
- CASPIO.
- ROLLBAR.
- APPSHEET.
- APPLYPIE.
- ZOHO CREATOR.
- MAIROSOFT POWER APP.
কনটেন্ট রাইটিং
ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ এর মধ্যে সবচেয়ে সহজ কাজ হল কনটেন্ট রাইটিং। কনটেন্ট হলো এমন একটি
বিষয় যেটি পড়ে মানুষ বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানতে পারে। একজন কন্টিনেন্ট
রাইটার এর কাজ হচ্ছে, বিভিন্ন ধরনের কনটেন্ট লিখে মানুষদের সঠিক তথ্য প্রদান করা।
অনেকেই আছেন যারা কনটেন্ট রাইটিং করে নিজেদের ওয়েবসাইট গড়ে তুলেছেন। আমি যদি
আপনাকে সহজ কথাই বোঝাই তাহলে, ধরেন আপনার মাথা ব্যথা আপনি এখন গুগলে সার্চ করলেন
মাথা ব্যথা কমানোর উপায় লিখে।
এখন গুগল কি করলো google আপনার সামনে হাজার হাজার তথ্য প্রদান করলো। আপনি ওই
বিভিন্ন হাজার হাজার ওয়েবসাইটের মধ্যে থেকে একটা ওয়েবসাইটে ঢুকে আপনি মাথা
ব্যাথা কমানোর উপায় সম্পর্কে জেনে গেলেন। মূলত এটিই হচ্ছে কন্টেন্ট রাইটিং।
অর্থাৎ মানুষকে বিভিন্ন তথ্য জানানো একজন কনটেন্ট রাইটার এর কাজ। কনটেন্ট রাইটিং
এর বিভিন্ন প্রকারভেদ রয়েছে চলুন সেগুলো দেখে নি।
কন্টেনড রাইটিং এর বিভিন্ন প্রকারভেদ
- কপিরাইটিং।
- বিভিন্ন ধরনের ব্লক পোস্ট অথবা আর্টিকেল।
- বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া রাইটিং।
- বিভিন্ন ধরনের ইমেইল কনটেন্ট।
- এক্সপার্ট রাইটিং।
- বিভিন্ন ধরনের ক্রিয়েটিভ রাইটিং করা।
- বিভিন্ন ধরনের ই-বুক রাইটিং করা।
- ট্রান্সলেশন রাইটিং করা ইত্যাদি।
প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার
- GOOGLE DOCS.
- GEAMMARLY.
- PRO WRITING.
- HEMINGWAY.
- WORD TUNE.
- WRITER.
- COPYMATIC.
সার্চ ইঞ্জিন অক্টোমাইজেশন SEO
সহজ ভাষায় বলতে গেলে আপনি যখন গুগলে সার্চ করেন কিছু একটা লিখে। তখন গুগল আপনাকে
হাজার হাজার ওয়েবসাইটের তথ্য প্রদান করে। তবে প্রথম পেজে আপনি শুধুমাত্র দশটি
ওয়েবসাইটের তথ্য দেখতে পান। মূলত SEO কাজ হচ্ছে আপনার ওয়েবসাইটটিকে সবার প্রথমে
নিয়ে আসা। যদি আপনার ওয়েবসাইট ১০০ নাম্বারে থাকে তাহলে তো কোন মানুষ আপনার
ওয়েবসাইটে কোন তথ্য পড়তে পারবে না।
তার কারণ হচ্ছে মানুষ প্রথমে যাদের ওয়েবসাইট থাকে তাদের ওয়েব সাইট থেকে বিভিন্ন
তথ্য নেয়। আর মূলত এই কারণেই ওয়েবসাইট প্রথম পেজে আনার জন্য SEO করা হয়। আরো
সহজ ভাষায় বলতে গেলে বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিনে ওয়েবসাইট সবার প্রথমে আনায় মূলত
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন অথবা SEO এর কাজ। সেক্ষেত্রে আপনার ওয়েবসাইট যদি সবার
প্রথমে আসে তাহলে আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটর এবং ট্রাফিক সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে।
তাতে খুব তাড়াতাড়ি আপনি গুগল এডসেন্স পেয়ে যাবেন এবং ভালো পরিমানে ইনকাম করতে
পারবেন। মূলত SEO করা হয়, ফেসবুক, ইউটিউব, গুগল এবং অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিনে। আর
এটি করার মাধ্যমে মানুষ কোন কিছু লিখে সার্চ করলে অথবা খুজলে আপনার ওয়েবসাইট
প্রথমের দিক দেখায়। বর্তমানে একজন SEO এক্সপার্টের চাহিদা প্রচুর পরিমাণে
রয়েছে। চলুন এবার SEO সম্পর্কে আরো কিছু তথ্য জেনে নেই।
SEO কত প্রকার - ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ
সাধারণত SEO দুই প্রকার। যেমন,
- On Page SEO.
- এবং Off Page SEO.
তাই আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং করতে চান তাহলে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনকে অর্থাৎ
SEO কে বেছে নিতে পারেন। বর্তমানে এর চাহিদা প্রচুর পরিমাণে রয়েছে। তার মূলত
কারণ হচ্ছে তাদের দেশ এবং দেশের বাহিরে সারা বিশ্বে প্রচুর ওয়েবসাইট রয়েছে।
যার কারণে এর চাহিদা বেশি।
ফ্রিল্যান্সিং এর সুবিধা
ফ্রিল্যান্সিংয়ের প্রচুর পরিমাণে সুবিধা রয়েছে। তার কারণ হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং
একটি মুক্ত পেশা। অর্থাৎ এটি আপনি দিন অথবা রাতের যে কোন সময় করতে পারবেন।
এছাড়া আপনি বিভিন্ন চাকুরি অথবা পড়াশোনার পাশাপাশি অনায়াসে আপনার অবসর সময়ে
ফ্রিল্যান্সিং করে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। ফ্রিল্যান্সিংয়ের আরেকটি সুবিধা
হল আপনাকে কারো আন্ডারে কাজ করতে হবে না। আপনি নিজেই নিজের কাজ করতে পারবেন এবং
নিজেই নিজের বেতন নির্ধারণ করতে পারবেন।
অর্থাৎ আপনি যত কাজ করবেন তা তো উপার্জন করতে পারবেন। তবে একটি বিষয় খেয়াল
রাখবেন ফ্রিল্যান্সিং করতে গেলে অবশ্যই আপনাকে ধৈর্য ধরতে হবে। অর্থাৎ আপনি যদি
ধৈর্য না ধরে কাজ করেন তাহলে আপনি ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের টিকে থাকতে পারবেন
না। তাই আমি বলব, নিজের অবসর সময়টাকে নষ্ট না করে ফ্রিল্যান্সিং শিখে নিজের
ক্যারিয়ার গড়ে তুলুন।
ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ নিয়ে সাধারণ জ্ঞান ও প্রশ্ন উত্তর FAQ
প্রশ্নঃ ফ্রিল্যান্সিংয়ের সবচেয়ে সহজ কাজ কোনটি?
উত্তরঃ ফ্রিল্যান্সিং এর সবচেয়ে সহজ কাজ হচ্ছে ডাটা এন্ট্রি।
প্রশ্নঃ ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার গড়তে আপনার সবচেয়ে বেশি আগ্রহের বিষয় কি?
উত্তরঃ আপনি যে কাজ করেন এবং আপনি যে ক্লায়েন্টের সাথে কাজ করবেন
তা বেছে নেওয়া এবং একটি বিস্তৃত আয়ের সম্ভাবনা অন্তর্ভুক্ত করে।
প্রশ্নঃ ফ্রিল্যান্সিং এর সম্ভাবনা?
উত্তরঃ বিভিন্ন প্রকল্প ও বিভিন্ন বিষয়ে কাজ করার ক্ষমতা উন্মুক্ত
করে।
প্রশ্নঃ ফ্রিল্যান্সিং এর দিকে নির্বশীল হচ্ছে কেন কেন?
উত্তরঃ নিজস্ব স্বাধীনতা।
প্রশ্নঃ ফ্রিল্যান্সিং এ আয়ের দিক দিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান কত?
উত্তরঃ অষ্টম।
প্রশ্নঃ ফ্রিল্যান্সিং এর সুবিধা?
উত্তরঃ সময়ের স্বাধীনতা, দলগত কাজের সুযোগ, কাজের স্বাধীনতা এবং
পড়ালেখা এবং চাকরির পাশাপাশি কাজের সুযোগ ইত্যাদি।
প্রশ্নঃ চাকরির চেয়ে ফ্রিল্যান্সিং ভালো কেন?
উত্তরঃ ফ্রিল্যান্সিং এর বেশি সুবিধা তার কারণ হলো, এটি আপনার
ইচ্ছামত করা যায়। কিন্তু, চাকরির স্বাধীনতার প্রভাব থাকে।
শেষ কথা
এই সম্পূর্ণ পোস্টটি জুড়ে আমি ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ সম্পর্কে
বিস্তারিতভাবে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। আপনার আশে পাশে বন্ধুদের
ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ সম্পর্কে জানাতে পোস্টটি শেয়ার করতে পারেন এবং
নিত্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন তথ্য পেতে ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন। সর্বশেষ
সম্পূর্ণ পশ্চিম মনোযোগ দিয়ে পড়ার পর আপনার মতামত কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না
ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url